সাইবার অপরাধ
সাইবার আপরাধ হলো এমন অপরাধ ডিজিটাল ডিভাইস কম্পিউটার, মোবাইল ও সোশ্যাল মিডিয়া , ইউটিউব, প্লাটফর্মে অপরাধ করে। ইন্টারনেটে অসাধু চক্র বা ব্যক্তি যারা প্রযুক্তি অপব্যবহার মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধ করে, যা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের , রাষ্টের ক্ষতি হয়।
এটি হতে পারে:
- মেসেজ ও ইমেল প্রতারণা।
- একজন ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে অপব্যবহার।
- ব্যাংক একাউন্ট বা কার্ড পেমেন্ট ডেটা চুরি ও আর্থিক প্রতারণা।
- সোশ্যাল মিডিয়ায় মানহানি ও উত্যক্ত ।
- অবৈধভাবে কনটেন্ট বা সফটয়্যার ব্যবহার।
- অনলাইনে অবৈধ জুয়া খেলা ও অর্থ আদান-প্রদান।
সাইবার অপরাধের ধরণ:
সাইবার অপরাধ বিভিন্নভাবে সংঘটিত হতে পারে। নিচে প্রধান কিছু ধরণ তুলে ধরা হলো:
১.হ্যাকিং : বিনা অনুমতিতে কারো ডিভাইস বা ডাটাসেন্টারে ঢুকে তার তথ্য চুরি ও ক্ষতি করা।
২. ফিশিং (Phishing) : ফিশিং হলো মিথ্যা ভুয়া ওয়েবসাইজ লিংক ও ভুয়া ইমেল মাধ্যম ব্যবহার করে ব্যক্তিগত তথসমূহ হাতিয়ে নেয় । যেমন- মোবাইলের সংরক্ষিত তথ্য, পাসওয়ার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
৩. সাইবার বুলিং (Cyberbullying) : অনলাইন ইন্টারনেটে ও সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কে মানহনি করা , হুমকি বা মানসিকভাবে আঘাত দেওয়া।
৪.রানসময়্যার অ্যাটাক (Ransomware Attack) : যে কোন একটি ক্ষতিকর সফটওয়ার বা ভাইরাস ডিজিটার ডিভাইসে বা কম্পিউটারে ছড়িয়ে অক্রান্ত করে ব্যবহার কারীকে সীমাবধদ্ধতা করে দেয় বা তার ডিভাইসে প্রবেশ করতে দেয় না, মুক্তিপন দাবি করে।
৫. ব্যক্তি পরিচয় চুরি: অন্য জনের ব্যক্তিগত নাম পরিচয় তথ্য বা ব্যাংক কার্ডের তথ্য জাতিয়াতি করে ব্যবহার করে।
৬. ডিজিটাল প্রতারনা: বর্তমান সময়ে অনলাইনে পণ্য বা সেবা দেওয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ করা।
৭. অবৈধ কনটেন্ট বা ভিডিও ছড়ানো : সোস্যাল মিডিয়া (টিকটক, ফেসবুক এবং ইউটিউবের)ওযেব সাইট ইন্টানেটে অশ্লীল, পর্নোগ্রাফি বা ঘৃণামূলক, সহিংসতামূলক কনটেন্ট ছাড়ানো।
সাইবার অপরাধের উদাহরণ:
১. আপনাকে কেউ বা অপরিচিত একটি ভুয়া ইমেল বা লিংক দিলো- আপনি ক্লিক করে প্রবেশ করতে বললো। প্রবেশ করানোর মাধ্যমে আপনার একাউন্ট বন্ধ বা তথ্য চুরি করে, এটিহলো ফিশিং এ্যাটাক।
২.আপনার নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক বা ভুয়া অ্যাকাউন্ট করে অশ্লীল ছবি ভিডিও পোস্ট, অথবা নাম ছবি ব্যবহার করে মানহানি তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া। এই পদ্ধতি কে হ্যাকিং ও সাইবার বুলিং বলা হয়।
৩. বর্তমান সময়ে অনেকে অনলাইনে পণ্য অর্ডার করে টাকা পরিশোধ করে, পরে পণ্য দেয় না বা অর্ডার কারার সময়ের ছবির পণ্যের সাথে মিলে না।
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি কারেণ যেমন আমাদের সুবিাধা হচ্ছে। ঠিক তখনই কিছু অসাধু চক্র প্রযুক্তির অপব্যবহার করে। তাই আমাদের সহসিকতা সতেচনতার মাধ্যমে ও আইনগত সহায়তার দ্বারা মোকাবেলা করতে হবে। সন্দেহজনক কোন কিছু মনে হলে যাচাই বাচাই করে ব্যবহার করা।